Amazon

নেটওয়ার্ক এন্ড ডাটা সেন্টার অপারেশন (৬৬৬৬৫)। অধ্যায় -১ । সার্ভার ভিত্তিক এবং পেয়ার কম্পিউটার নেটওয়ার্ক

 নেটওয়ার্ক এন্ড ডাটা সেন্টার অপারেশন (৬৬৬৬৫)

অধ্যায় -১

সার্ভার ভিত্তিক এবং পেয়ার কম্পিউটার নেটওয়ার্ক


ধারা বাহিক আর্টিকেল লেখার জন্য আমি “নেটওয়ার্ক এন্ড ডাটা সেন্টার অপারেশন “ বিষয় টি বেছে নিয়েছি। আমি মনে করি বিষয় টি যুগ উপ যুগী। এর প্রথম পর্ব “ সার্ভার ভিত্তিক এবং পেয়ার কম্পিউটার নেটওয়ার্ক “। আর্টিকেলটিতে  ক্লায়েন্ট সার্ভার এবং পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক নিয়ে আলোচনা করা হবে। নেটওয়ার্কিং করার ক্ষেত্রে সার্ভার ভিত্তিক এবং পেয়ার কম্পিউটার দুইটি ভিন্ন ভিন্ন ধারনা। সার্ভার ভিত্তিক কম্পিউটার নেটওয়ার্কে একটি কেন্দ্রীয় সার্ভার থাকে। অন্যদিকে পেয়ার কম্পিউটার দুইটি কম্পিউটারের সংযোগে রিসোর্স শেয়ার করে থাকে।


সার্ভার ভিত্তিক এবং পেয়ার কম্পিউটার নেটওয়ার্ক এর যেসব বিষয়ে আলোচনা করা হবে তা হল-

১। সার্ভার ভিত্তিক এবং পিয়ার কম্পিউটার নেটওয়ার্কগুলি বুঝা।

১.১। একটি নেটওয়ার্কে ক্লায়েন্ট, সার্ভার এবং পিয়ার কম্পিউটার সংজ্ঞায়িত করুন।

১.২। সার্ভার ভিত্তিক নেটওয়ার্ক এবং ডোমেন বর্ণনা করুন ।

১.৩। সাধারণ ধরণের সার্ভারের ভূমিকা বর্ণনা করুন।

১.৪। ডিএনএস এবং ডিএইচসিপি সার্ভারের মধ্যে পার্থক্য উল্লেখ করুন।.

১.৫। Forward and reverse lookup zones গুলির কার্যকারিতাটি বর্ণনা করুন।

১.৬। LAN,VLAN এবং Inter-VLAN  প্রাথমিক বৈশিষ্ট্যগুলি বর্ণনা করুন।


ক্লায়েন্ট কম্পিউটার ( Client Computer) 

ক্লায়েন্ট কম্পিউটার ঃ 'Client' শব্দের অর্থ সেবা গ্রহণকারী। কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং এ যে সকল কম্পিউটার সার্ভার কর্তৃক বিভিন্ন সার্ভিস গ্রহণ করে থাকে তাকেই আমরা ক্লায়েন্ট কম্পিউটার বলে থাকি। এ ক্ষেত্রে কম্পিউটারের নিয়ন্ত্রণে থেকে বিভিন্ন ধরনের সার্ভিস গ্রহণ করতে পারে। ক্লায়েন্টকে ওয়ার্কস্টেশন বলা হয়ে থাকে।

এক্সাম্পল হিসেবে বলা যায়, ছোট ডেক্সটপ বা ল্যাপটপ কম্পিউটার সমূহ হচ্ছে ক্লায়েন্ট কম্পিউটার। 

ক্লায়েন্ট কম্পিউটার বিষয়ে অন্যান্য সংখ্যাগুলি কি তা নিম্নে তুলে ধরা হলো-

" কম্পিউটিংয়ে, ক্লায়েন্ট হ'ল কম্পিউটার হার্ডওয়্যার বা সফ্টওয়্যার এর একটি অংশ যা কম্পিউটার নেটওয়ার্কগুলির ক্লায়েন্ট – সার্ভার মডেলের অংশ হিসাবে একটি সার্ভারের পরিষেবা অ্যাক্সেস করে। সার্ভারটি প্রায়ই (তবে সর্বদা নয়) অন্য কম্পিউটার সিস্টেমে থাকে, এক্ষেত্রে ক্লায়েন্ট নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পরিষেবাটি অ্যাক্সেস করে। "

   " ক্লায়েন্ট এমন একটি কম্পিউটার যা দূরবর্তী কম্পিউটার বা সার্ভারের রিসোর্স ব্যবহার করে এবং ব্যবহার করে। অনেক কর্পোরেট নেটওয়ার্ক প্রতিটি কর্মচারীর জন্য একটি ক্লায়েন্ট কম্পিউটার থাকে, যার প্রতিটি কর্পোরেট সার্ভারের সাথে সংযুক্ত থাকে। সার্ভার ফাইল, তথ্য, ইন্টারনেট এবং ইন্ট্রানেট অ্যাক্সেস এবং বাহ্যিক প্রসেসিং পাওয়ারের মতো রিসোর্স  সরবরাহ করে। প্রসেসিংয়ের ক্ষেত্রে, সার্ভারে করা কোনও কাজকে "সার্ভার-সাইড" কাজ হিসাবে উল্লেখ করা হয়। স্থানীয় ক্লায়েন্টে যে কোনও কাজ করা একইভাবে "ক্লায়েন্ট-সাইড" নামে পরিচিত।"

"এছাড়া ক্লায়েন্ট ও একটি সার্ভারের সাথে সংযোগ করতে ব্যবহৃত সফ্টওয়্যার প্রোগ্রামের অন্য নামও বলা চলে।"

বাস্তব বিশ্বে ব্যবসা- বাণিজ্যের ক্ষেত্রে  ক্লায়েন্ট কথাটির প্রচলন রয়েছে। কম্পিউটার জগতে ক্লায়েন্ট সার্ভার এর কথা চিন্তা করলে একটি সার্ভারের এক বা একাধিক ক্লায়েন্ট রয়েছে। "ক্লায়েন্ট-সার্ভার" আর্কিটেকচার লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক এবং ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক উভয় নেটওয়ার্কেই কাজ করে থাকে। উদাহরণস্বরূপ, যদি কোনও অফিসে কোনও সার্ভার থাকে যা এতে কোম্পানির ডেটাবেস এবং বিভিন্ন রিসোর্স স্টোর করে, এই সার্ভারের সাথে সংযুক্ত  অফিসে থাকা অন্যান্য কম্পিউটারগুলি যা ডেটাবেস অ্যাক্সেস করতে পারে সেগুলি সার্ভারের "ক্লায়েন্ট"।

বৃহত্তর আকারে, আমরা যখন ইন্টারনেটে কোনও মেল সার্ভার থেকে  ইমেলটি অ্যাক্সেস করি, তখন কম্পিউটারটি ক্লায়েন্ট হিসাবে কাজ করে যা মেল সার্ভারের সাথে সংযোগ স্থাপন করে। "ক্লায়েন্ট সফটওয়্যার" শব্দটি ক্লায়েন্ট কম্পিউটার এবং সার্ভারের মধ্যে ইন্টারফেস হিসাবে কাজ করে এমন সফ্টওয়্যারকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। উদাহরণস্বরূপ, আমরা  যদি নিজের ইমেলটি পরীক্ষা করতে ইউডোরা সফটওয়ারটি ব্যবহার করি তবে ইউডোরা "ই-মেইল ক্লায়েন্ট সফ্টওয়্যার" হিসেবে কাজ করে ।যা  সার্ভার থেকে বার্তা প্রেরণ এবং গ্রহণ করতে দেয়। হাওড়া এচিভমেন্ট রাজু তুষার ভারত-বাংলাদেশ ঢাকাগামী দাও কল্পলোকের এদিকে হয় পুরো মাখন তামিল 5 টাকা দিয়ে দিবি নাটক আমিতো চলে যাচ্ছি তাই এরকম লাগছে আমি বললাম করবিনা

ক্লায়েন্ট পিসির জন্য ক্লায়েন্ট বেস অপারেটিং সিস্টেমগুলি হচ্ছে - 

Windows 95,Windows 98,Windows Me,Windows XP ,Windows Vista, Windows 7,Windows 8,Ubuntu Linux

Red Hat Linux,Caldera Linux,Mandrake Linux etc.


নেটওয়ার্ক এন্ড ডাটা সেন্টার অপারেশন



সার্ভার কম্পিউটার(Server Computer) 

"Server"- সার্ভার শব্দের আভিধানিক অর্থ হল যে সার্ভিস প্রদান করে | তাহলে বলতে পারি যে কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং এর ক্ষেত্রে যে সকল কম্পিউটার অন্যান্য কম্পিউটার বা পিসি সমূহকে সার্ভিস প্রদান করে এবং এসকল PC-গুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে তাকে সার্ভার কম্পিউটার বলে | 
নেটওয়ার্কে কোন সার্ভারে কাজ হচ্ছে ক্লায়েন্ট পিসি হতে আগত যেকোনো অনুরোধ তড়িৎ সাড়া দেয়া এবং সে মতে সেবা প্রদান করা | সার্ভারকে ব্যাঙ্ক এন্ড (Back End)বলা হয় | নেটওয়ার্কের আওতাভুক্ত হাই রিসোর্স সম্বলিত যে কোন কম্পিউটারে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল ও কনফিগার করে একে সার্ভারের পরিণত করা যায়|

ক্লায়েন্ট এর তুলনায় সার্ভার অধিকতর শক্তিশালী হয়ে থাকে কেননা এর হার্ডডিক্স,রাম এবং অন্যান্য 
পেরিফেরাল ডিভাইস ক্লায়েন্ট কম্পিউটার এর থেকে অনেক  বেশি এবং উচ্চগতি সম্পন্ন হয়ে থাকে |


পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক (Peer to Peer Network)

পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক বা পিটুপি; হচ্ছে এমন এক ধরণের নেটওয়ার্ক যেখানে কম্পিউটার হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার কোন সার্ভারের সাহায্য ছাড়ায় একে অপরের সাথে কানেক্টেড হতে পারে। আর এই নেটওয়ার্কে কানেক্টেড থেকে যদি ডিভাইজ গুলো একে অপরের সাথে ডিজিটাল ফাইল আদান প্রদান করে, সেক্ষেত্রে এটিকে পিয়ার টু পিয়ার ফাইল শেয়ারিং বলা হয়। 

পেয়ার শব্দের অর্থ সমকক্ষ অর্থাৎ যে নেটওয়ার্কিং ব্যবস্থায় কম্পিউটারসমূহ এককভাবে সার্ভার বা ক্লায়েন্ট হিসেবে কাজ না করে কাজের প্রকৃতি অনুযায়ী সার্ভার এবং ক্লায়েন্ট উভয় হিসেবে কাজ করতে পারে তাকে পেয়ার টু পেয়ার নেটওয়ার্ক বলে । পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক ব্যবস্থায় কোন কম্পিউটারই একক ক্ষমতায় অধিকারী নয় । অর্থাৎ কোন কম্পিউটার যখন অন্য কোন কম্পিউটারকে সেবা প্রদান করে তখন তাকে সার্ভার বলে এবং এই একই কম্পিউটার যখন অন্য কোন কম্পিউটার থেকে সেবা গ্রহণ করে তখন তাকে সার্ভার বলা হয় | 



 


পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক এ প্রতিটি কম্পিউটার ডাটা, অ্যাপ্লিকেশন ও রিসোর্স শেয়ারিং এর ক্ষেত্রে সমান ভূমিকা পালন করে এখানে কোন ডেডিকেটেড সার্ভার থাকেনা । প্রতিটি পিসি তার নিরাপত্তা বিধান নিজেই করে থাকে ।তাছাড়া ফাইল বা রিসোর্স শেয়ারিং এর ক্ষমতা নিজেই বন্টন করে থাকে।তবে এ ক্ষেত্রে সকল পিসির ক্ষমতা একই ধরনের হয়ে থাকে।


 


কিভাবে আসলো ক্লায়েন্ট সার্ভার কথাটি ?

ক্লায়েন্ট-সার্ভার আর্কিটেকচারের প্রাথমিক রূপটি হ'ল রিমোট জব এ প্রবেশ করা , রিমোট জব এন্ট্রি হ'ল রিমোট ওয়ার্কস্টেশনগুলি থেকে মেইনফ্রেম কম্পিউটারগুলিতে নন-ইন্টারেক্টিভ ডেটা প্রসেসিং টাস্ক (জবস) এর জন্য অনুরোধ প্রেরণের প্রক্রিয়া এবং বর্ধিত ওয়ার্কস্টেশনে এ জাতীয় কাজ থেকে আউটপুট পাওয়ার প্রক্রিয়াটি প্রসারিত করে। কমপক্ষে ওএস / ৩৬০ এর সাথে ডেট হয়, যেখানে অনুরোধটি একটি কাজ চালানোর জন্য ছিল এবং প্রতিক্রিয়াটি আউটপুট ছিল। ওএস / ৩৬০, আনুষ্ঠানিকভাবে আইবিএম সিস্টেম / ৩৬০ অপারেটিং সিস্টেম হিসাবে পরিচিত, এটি একটি তাত্পর্যপূর্ণ ব্যাচ প্রসেসিং অপারেটিং সিস্টেম যা আইবিএম তাদের তত্কালীন নতুন সিস্টেম / ৩৬০ মেইনফ্রেম কম্পিউটারের জন্য বিকাশ করেছে, যা 1964 সালে ঘোষণা করা হয়েছিল; এটি IBM 7090/7094 এর জন্য পূর্ববর্তী IBSYS / IBJOB এবং ইনপুট / আউটপুট নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা (IOCS) প্যাকেজগুলি দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল এবং আরও অনেক কিছু আইবিএম 1410/7010 প্রসেসরের PR155 অপারেটিং সিস্টেম দ্বারা। কম্পিউটার হার্ডওয়্যারটির কমপক্ষে একটি সরাসরি অ্যাক্সেস স্টোরেজ ডিভাইস অন্তর্ভুক্ত করার জন্য এটি প্রাথমিকতম অপারেটিং সিস্টেমগুলির মধ্যে একটি ছিল।

1960 এবং 1970 এর দশকে ক্লায়েন্ট – সার্ভারের মডেল তৈরি করার সময়, কম্পিউটার বিজ্ঞানীরা আরপানেট (স্ট্যানফোর্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে) নির্মাণকারী সার্ভার-হোস্ট (বা হোস্ট পরিবেশন করা) এবং ব্যবহারকারী-হোস্ট (বা ব্যবহার-হোস্ট) শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন এবং এগুলি প্রদর্শিত হয় প্রারম্ভিক নথিগুলি আরএফসি 5 [5] এবং আরএফসি 4 [6] 1970 এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে । রিকোয়েস্ট ফর কমেন্টস (আরএফসি) হ'ল ইন্টারনেট সোসাইটি (আইএসওসি) এবং এর সাথে সম্পর্কিত সংস্থাগুলির একটি প্রকাশনা, বিশেষত ইন্টারনেট ইঞ্জিনিয়ারিং টাস্ক ফোর্স (আইইটিএফ), প্রধান প্রযুক্তিগত বিকাশ এবং ইন্টারনেটের জন্য মান নির্ধারণকারী সংস্থা।জেরক্স পিএআরসি-তে এই ব্যবহার অব্যাহত ছিল। পিএআরসি ক্যালিফোর্নিয়ার পালো অল্টোর একটি গবেষণা এবং উন্নয়ন সংস্থা। ১৯69৯ সালে গঠিত, সংস্থাটি মূলত জেরক্সের একটি সহায়ক সংস্থা এবং কম্পিউটার প্রযুক্তি সম্পর্কিত পণ্য এবং হার্ডওয়্যার সিস্টেম তৈরির কাজ  করতো ।

গবেষকরা এই পদগুলি ব্যবহার করেছিলেন এমন একটি প্রসঙ্গে ডিকোড-এনকোড ল্যাঙ্গুয়েজ (ডেল) নামে একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্ক প্রোগ্রামিং ভাষার নকশায় ছিলেন । এই ভাষার উদ্দেশ্য হ'ল একটি কম্পিউটার (ব্যবহারকারী-হোস্ট) থেকে আদেশগুলি গ্রহণ করা যা ব্যবহারকারীর স্থিতি সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলি নেটওয়ার্ক প্যাকেটে কমান্ডগুলি এনকোড করার সাথে সাথে ব্যবহারকারীকে ফিরিয়ে দেবে। অন্য একটি ডেল-সক্ষম কম্পিউটার, সার্ভার-হোস্ট, প্যাকেটগুলি পেয়েছিল, সেগুলি ডিকোড করে এবং ব্যবহারকারী-হোস্টকে ফর্ম্যাট করা ডেটা ফিরিয়ে দেয়। ব্যবহারকারী-হোস্টের একটি ডিল প্রোগ্রাম ব্যবহারকারীর কাছে উপস্থাপনের ফলাফল পেয়েছে। এটি একটি ক্লায়েন্ট-সার্ভার লেনদেন। ১৯৬৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দফতর আরপানেট (ইন্টারনেটের পূর্বসূরী) প্রতিষ্ঠা করেছিল, এই বছরই ডেল বিকাশ শুরু হয়েছিল।

 

কিভাবে আসলো পেয়ার টু পিয়ার কথাটি ?

পেয়ার টু পিয়ার (পি 2 পি) নেটওয়ার্কিংয়ের প্রাথমিক ধারণাটি 1969 সাল থেকে, যখন ইন্টারনেট ইঞ্জিনিয়ারিং টাস্ক ফোর্স মন্তব্যগুলির জন্য তার প্রথম অনুরোধটি পুস করে দেয়। যাইহোক, প্রথম ডায়াল আপ পি 2 পি নেটওয়ার্ক 1980 সালে ইউজনেট আকারে তৈরি হয়েছিল, যা বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট আলোচনার সিস্টেম ছিল।


ক্লায়েন্ট সার্ভার এর সুবিধা ও অসুবিধা ?



ক্লায়েন্ট সার্ভার এর সুবিধাসমূহ

  •  সমস্ত ফাইল একটি কেন্দ্রীয় অবস্থানে সংরক্ষণ করা হয়।
  • নেটওয়ার্ক পেরিফেরিয়ালগুলি কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
  • ব্যাকআপ এবং নেটওয়ার্ক সুরক্ষা কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়।
  • ব্যবহারকারীরা ভাগ করা ডেটা অ্যাক্সেস করতে পারবেন যা কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত
ক্লায়েন্ট সার্ভার এর সুবিধাসমূহ

  • স্পেশিয়াল নেটওয়ার্ক অপারেটিং সিস্টেম প্রয়োজন।
  • নেটওয়ার্কের কোনও অংশ ব্যর্থ হলে প্রচুর বিঘ্ন ঘটতে পারে।
  • নেটওয়ার্ক ম্যানেজারের মতো বিশেষজ্ঞ কর্মীদের প্রয়োজন।
  • সার্ভার সহ অন্যান্য পেরিফেরাল ডিভাইস কিনতে ব্যয়বহুল।

পেয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক এর সুবিধা ও অসুবিধা ?

পেয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক এর সুবিধা
  • পেয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক এ ব্যবস্থার ডিজাইন সহজ
  • পেয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক এর রক্ষণাবেক্ষণ পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা খুবই সহজ
  • পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক এর খরচ তুলনামূলক কম
  • উচ্চ গতির প্রসেসর হার্ডডিস্ক এর প্রয়োজন হয় না
  • সাধারণ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা যায় (windows 7,10)
পেয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক এর অসুবিধা
  • নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে থাকে 
  • তথ্য বা ফাইল সমূহের ব্যাকআপ রাখা যায় না
  • কোটা ম্যানেজমেন্ট টাইম শেয়ারিং ইত্যাদি সুবিধা পাওয়া যায় না
  •  অধিক সংখ্যক ইউজার সমর্থন করে না.

Difference Between Client-Server and Peer-to-Peer Network (with Comparison  Chart) - Tech Differences

 



ক্লায়েন্ট সার্ভার ও পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক এর মধ্যে যে সকল পার্থক্য পরিলক্ষিত হয় তা নিম্নে তুলে ধরা হলো ঃ



ক্লায়েন্ট সার্ভার নেটওয়ার্ক                  পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক      
 ক) ক্লায়েন্ট সার্ভার এ ব্যবহৃত কেন্দ্রীয় কম্পিউটারটিকে বলা হয় সার্ভার এবং সার্ভারের সাথে সংযুক্ত কম্পিউটারকে বলা হয় আরকি স্টেশন বা ক্লায়েন্ট   ক) পেয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক যুক্ত সবগুলো কম্পিউটার একই শ্রেণি বা সমকক্ষ বলে এগুলো একে অপরের সাথ বাপ্পিয়ার বলা হয়   
 খ) এতে এক বা একাধিক সার্ভার প্রয়োজন হয় যার ব্যাক এন্ড প্রোগ্রাম কোন ক্লায়েন্টকে সাড়া প্রদান করে খ) পিয়ার টু  পিয়ার  নেটওয়ার্কের এ কম্পিউটারগুলো  সার্ভার ও ক্লায়েন্ট উভয়েরই ভূমিকা পালন করে বিধাই এতে আলাদা কোনো শক্তিশালী সার্ভার এর প্রয়োজন হয় না । 
 গ) ক্লায়েন্ট সার্ভার নেটওয়ার্ক এর ডিজাইন ও রক্ষণাবেক্ষণ অনেক জটিল। গ)পেয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক এর ডিজাইন ও রক্ষণাবেক্ষণ ক্লায়েন্ট সার্ভার নেটওয়ার্ক এর চেয়ে সহজ ।
 ঘ) নেটওয়ার্ক এবং অনুমোদিত ব্যবহারকারীর হাত থেকে তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায় যার ফলে খরচ বেশি পড়ে।ঘ) পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক ডিজাইন করতে খরচ কম লাগে।
 ঙ) তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায় কারণ কেন্দ্রীয় সার্ভার তথ্য জমা থাকে এবং অননুমোদিত ব্যবহারকারী তথ্য অ্যাক্সেস করতে পারে না। ঙ)পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক এ কোন কেন্দ্রীয় কম্পিউটার তথ্য জমা রাখে না বলে তথ্যের নিরাপত্তা রক্ষা করা যায় না।
 চ) ক্লায়েন্ট সার্ভার নেটওয়ার্ক পরিচালনার জন্য হাই কনফিগারেশনের প্রয়োজন হয়।চ) পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক ব্যবস্থায় হাই কনফিগারেশন প্রয়োজন নেই ।
ছ) ইনফরমেশন এর ব্যাকআপ রাখা যায় ।ছ) ইনফরমেশন এর ব্যাকআপ রাখা যায় ।



পরিশেষে বলতে গেলে বলতে হয় সার্ভার ভিত্তিক নেটওয়ার্ক এবং peer-to-peer নেটওয়ার্ক এ দুটোর ভিতর যতই পার্থক্য থাকুক না কেন । এ দুটি মডেলই আমাদের নেটওয়ার্কিং এর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় । নেটওয়ার্ক এন্ড ডাটা সেন্টার অপারেশন অর্থাৎ নেটওয়ার্কিং বুঝতে হলে সার্ভার ভিত্তিক নেটওয়ার্ক এবং পেয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরী । ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের জন্য তৈরি সিলেবাসে নেটওয়ার্ক এন্ড ডাটা সেন্টার অপারেশন এর সাবজেক্ট আছে সেখানে এই বিষয়গুলি নিয়ে  আলোচনা করা হয়েছে , যা আমি আমার এই ব্লগে তারই ধারাবাহিকতায় আরো কিছু এড করে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। আশা করি চার বছর মেয়াদি বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের আন্ডারে ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং অধ্যায়নরত ছাত্রছাত্রীরা উপকৃত হবেন । টেকনিক্যাল এডুকেশন এর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার দের জন্য অত্যন্ত উপকারে আসবে এছাড়াও সাধারণ যারা কম্পিউটার সম্পর্কে জানতে আগ্রহী এবং নেটওয়ার্ক নিয়ে কাজ করছেন তাদের জন্য আশা করি কাজে লাগবে।




মুহাম্মাদ সহিদুল ইসলাম
ইনস্ট্রাক্টর(কম্পিউটার)
ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সস্টিটিউট




No comments

Hi Thanks for Your Valuable Comments

Powered by Blogger.