Amazon

এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল | SEO Friendly Article

 



এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল

(SEO Friendly Article) 



এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখার জন্য কি কি করা প্রয়োজন ? তা জানার জন্য আপনি এই আর্টিকেল টি পড়ুন আসাকরি এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল সঠিক ভাবে লিকতে কারবেন। আজকের ব্লগ এ আমি SEO Friendly Article লেখার সময় কিছু কৌশল অবলম্বন করতে যা প্রয়োজন , সেই কৌশল গুলো স্টেপ বাই স্টেপ আলোচনা করবো। কিভাবে এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখতে হয় সেই বিষয়টি কে এক লাইন বা দুই লাইনে বোঝানো সম্ভব নয়। এরজন্য বেশ কিছু বিষয় জানার প্রয়োজন হয়। 

বাস্তবতা হোল যে, Google শুধুমাএ সেইসব আর্টিকেলকে টপ পজিশনে রাখে, যেই সব আর্টিকেল গুলো Google এর এলগরিদম অনুযায়ী Optimize করা হয়ে থাকে।

যদি এমনটা হয় যে, ওয়েবসাইটে আর্টিকেল পাবলিশ হয়েছে। কিন্তুু আপনার আর্টিকেল গুগলের ফাস্ট পেজে তো দুরের কথা, যদি সার্চ ইঞ্জিনে খুজেই পাওয়া না যায় ৷ তাহলে, ধরে নিতে হবে যে আপনার পাবলিশ করা আর্টিকেলটি ভালোভাবে অপটিমাইজ তথা Google এর এলগরিদম অনুযায়ী Optimize করা হয়নি। 

মনে রাখতে হবে , সার্চ ইঞ্জিন থেকে হিউজ পরিমানে অর্গানিক ভিজিটর (Organic Visitor) নিয়ে আসার জন্য, এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল (SEO Friendly Article ) বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 


এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল (SEO Friendly Article)

সাধারন ভাষায়, যখন আপনি এসইও তথা  Google এর এলগরিদম অনুযায়ী Optimize করে এর সাথে সামঞ্জস্যতা রেখে কোনো কন্টেন্টকে অপটিমাইজ করবেন। তখন তাকে বলা হবে, সইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল (SEO Friendly Article) । যদি বুজতে সমস্যা হয় ,তাহলে ঠান্ডা মাথায় আরেকটু ভাবুন।

ধরুন, আপনি “SEO Friendly Article" - নিয়ে একটি আর্টিকেল লিখলেন। এরপর সেই আর্টিকেলটিকে আপনার ওয়েবসাইটে পাবলিশ করবেন। কিন্তুু এখানে একটা প্রশ্ন হলো যে, আপনি SEO Friendly Article নিয়ে আর্টিকেল লিখেছেন।সেটা গুগল কিভাবে বুঝবে?

তাই গুগল যেন আপনার আর্টিকেলের মূল বিষয় সম্পর্কে বুঝতে পারে। সেজন্য আপনার আর্টিকেলের মধ্যে বেশ কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হবে। যখন আপনি এই কৌশল গুলো প্রয়োগ করে, আপনার আর্টিকেলকে  Google এর এলগরিদম অনুযায়ী উন্নত করবেন। মূলত তাকে বলা হবে, এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল ।

এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার প্রয়োজনীয়তা

সার্চ ইঞ্জিন এর মাধ্যমে ভিজিটর আসুক আমরা সবাই চাই। যদি Organic Visitors আপনার  টার্গেট হয়। তাহলে এই বিষয়টি আপনাকে অনেক গুরুত্বের সাথে দেখতে হবে। কারন আপনার আর্টিকেল যদি Proper Optimize না করা হয়। তাহলে গুগল আর্টিকেলকে Rank করাবে না। আর আর্টিকেল গুগলে Rank না করলে, আশানুরূপ ভিজিটর পাওয়া যাবে না। মূল বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে যে, কেন আর্টিকেলকে SEO Friendly করা উচিত।

এই বিষয়টি বোঝার জন্য গুগলে গিয়ে আপনার ইচ্ছামতো কিছু একটা লিখে সার্চ করুন। ধরে নিলাম আপনি ” অফ পেজ এসইও“- লিখে সার্চ করছেন।সার্চ রেজাল্ট এ সেই ওয়েবসাইটের লিংক দেখতে পাচ্ছেন। যারা মূলত “অফ পেজ এসইও”- নিয়ে আর্টিকেল পাবলিশ করেছে।একটা বিষয় লক্ষ্যনিও যে  অফ পেজ এসইও নিয়ে সবাই আর্টিকেল পাবলিশ করলেও। গুগল কোনো ওয়েবসাইটকে সবার উপরে দেখাচ্ছে, আবার কোনো ওয়েবসাইটকে নিচের দিকে দেখাচ্ছে। কিছু ওয়েবসাইটকে গুগলের ১ম পেজে না রেখে ২য় , ৩য় পেজে শো করছে। প্রশ্ন হলো,  একই বিষয়ে আর্টিকেল লেখার পরও, গুগল কেন কিছু ওয়েবসাইটকে প্রথম সাড়িতে শো করলো।আর কেন ২য় বা ৩য় পেজে কিছু ওয়েবসাইটকে শো করলো?

প্রধান কারন হলো, যে আর্টিকেল গুলো Google এর এলগরিদম অনুযায়ী অপটিমাইজ করা হয়েছে। গুগল সেই আর্টিকেল গুলোকে ১ম  পেজ এ শো করছে।আর যে আর্টিকেল গুলো এসইও ফ্রেন্ডলি নয়। গুগল সেই আর্টিকেল গুলোকে Google এর SEO Rules অনুযায়ে পর্যায়ক্রমে নিচের দিকে শো করছে।  

কোনো আর্টিকেলকে অপটিমাইজ করার আগে আপনাকে আর্টিকেলের কোয়ান্টিটি সম্পর্কে জানতে হবে এবং সেই অনুযায় মূলত অপটিমাইজেশন কে সাজিয়ে নিতে হবে।

ধরুন আপনি ১০০০ শব্দের একটি আর্টিকেল লিখেন। তাহলে আপনার অপ্টিমাইজিং স্ট্রাকচার একরকম হবে। আবার যদি ৩০০০ শব্দের একটি আর্টিকেল লিখেন। তাহলে আপনার অপ্টিমাইজিং স্ট্রাকচার অন্যরকম হবে। কন্টেন্ট কে অপটিমাইজ করতে চাইবেন। তখন আপনাকে পূর্ব পরিকল্পিত একটা প্ল্যানিং করতে হবে।কোনো কাজের শুরু করার আগে উওম কাজ হলো পূর্ব পরিকল্পনা করা।

কোনো একটি আর্টিকেল অপটিমাইজ করতে চাইলে সবার আগে Content Quantity এবং Keyword Placement সম্পর্কে ধারনা রাখতে হবে। আর্টিকেলকে অপটিমাইজ করার পূর্বে আর্টিকেলের কোয়ান্টিটি সম্পর্কে জানতে হবে এবং সেই অনুপাতে নির্ভর করে মূলত অপটিমাইজেশন এর Structure কে সাজিয়ে নিতে হবে।

কিওয়ার্ড প্লেসমেন্ট (Keyword Placement) খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কারন আপনি যে কিওয়ার্ডের উপর আপনার কন্টেন্ট কে Rank করাতে চান।আপনার কন্টেন্টে অবশ্যই সেই কিওয়ার্ডের ফ্লো থাকতে হবে।



 
এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার কৌশল

কন্টেন্টে Text,  Image, Parmalink, Title, Description, Heading Tag এর সমন্বয়ে গঠিত হয় থাকে। যদি আপনাকে কোনো কন্টেন্টকে অপটিমাইজ করতে বলা হয়। তাহলে আপনাকে সেই কন্টেন্ট যেসব বিষয়ের সমন্বয়ে গঠিত। সেই বিষয় গুলোকে অপটিমাইজ করতে হবে। যেমন কন্টেন্ট এর Title, Image, url ইত্যাদিকে অপটিমাইজ করতে হবে। একটি কন্টেন্ট কে ” এসইও ফ্রেন্ডলি”- করা যায়। সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। 

START আর্টিকেল, যেখান থেকে আর্টিকেল শুরু হয় তাকে আর্টিকেল এর Starting Part বলে। একটি আর্টিকেলের শুরুর অংশটা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। তাই এই অংশটা আপনাকে এমনভাবে অপটিমাইজ করতে হবে, যেন গুগল আপনার আর্টিকেলকে ইনডেক্স করার সময় খুব সহজেই বুঝতে পারে যে, আপনি আসলে কোন টপিক নিয়ে আর্টিকেল পাবলিশ করেছেন।

কি ভাবে শুরুর অংশটি অপটিমাইজ (Starting Part Optimization) করা যায় ?

আর্টিকেল এর শুরুর অংশটি অপটিমাইজ করার বেশ কিছু কৌশল আছে। যেমন, আর্টিকেল এর প্রথম ১৫০-২৫০ শব্দ খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই চেস্টা করতে হবে যেন মোট ২ বার Main Keyword থাকে। মেইন কিওয়ার্ডকে অবশ্যই বোল্ড স্টাইল করে দিবে। যেন কিওয়ার্ড গুলি পাঠকের নজরে আসে এবং কোন টপিকে এই আর্টিকেল লিখছেন সেটা প্রথম ২০০-২৫০ শব্দে ফুটিয়ে তোলার চেস্টা করতে হবে ।

হেডিং  TAG (H1,H2,H3,H4) ব্যবহার করা

হেডিং ট্যাগ এর কাজ হলো, ‘মূল টপিক কে ফোকাস করা” ।  যে বিষয়ে আর্টিকেল লিখছেন, তা এক লাইন বা দুই লাইনে মাধ্যমে বুঝিয়ে দেয়া। Google Indexer যখন আপনার কন্টেন্ট কে ক্রল (Crawl) করবে। তখন সবার আগে  আর্টিকেল এর হেডিং ট্যাগ গুলোকে Check করবে। তারপর  কন্টেন্ট এর বাকি অংশগুলো তে নজর দিয়ে থাকে।





Heading Tag Optimization

হেডিং ট্যাগ এ যে শব্দ গুলো ব্যবহার করা হবে। সেগুলো যেন  Main Keyword কে ফোকাস করে। 
সবসময় চেস্টা করতে হবে মেইন কিওয়ার্ড কে ব্যবহার করার। হেডিং কে এমনভাবে সাজিয়ে নিতে হবে। যেন মেইন কিওয়ার্ড নিয়ে কোনো প্রশ্ন যুক্ত থাকে। 





Readable Article তৈরি করন


Readable Article তৈরি করন এর সময় যে বিষয় গুলির দিকে নজর দিতে হবে তা হলো । 
 
Easy Word ব্যবহার করতে হবে। ভিজিটর যেই কন্টেন্ট পড়ার সময় শব্দের অর্থ বুজতে পারবে না তা পরিহার করা। যার ফলে তারা আপনার আর্টিকেল পড়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। 

কন্টেন্ট কে ছোট ছোট Paragraph এ ভাগ করে নিতে হবে। যাতে ভিজিটর কন্টেন্ট পড়ার আগ্রহ হারিয়ে না ফেলে এবং কন্টেন্টকে দ্রুত স্ক্রল করে চলে না যায়৷
 
আকর্ষণীও শব্দ কন্টেন্ট এর মাঝে মাঝে  যুক্ত করতে হবে। যেমন, Tips / NOTE ইত্যাদি শব্দগুলো Bold করে সেখানে আকর্ষনীয় কিছু শব্দ যুক্ত করার চেস্টা করতে হবে। 

কন্টেন্ট ফন্ট, ব্যাক কালার, সাইজ এর দিকে নজর দিতে হবে।

কন্টেন্ট এ যতোবেশি ইমেজ ব্যবহার করা যায় ৷  কন্টেন্ট ততোটাই এসইও ফ্রেন্ডলি হবে এবং ভিজিটর কন্টেন্ট এ আগের তুলনায় অনেক বেশি সময় ধরে স্থায়ী হবে।যে কন্টেন্ট এ যতো বেশি ইমেজ ব্যবহার করা হয়। সেই কন্টেন্ট ততো বেশি SEO Friendly হয়ে থাকে। 

কন্টেন্ট এ শুধু ইমেজ ব্যবহার করলেই হবে না,  ইমেজ গুলো যথেস্ট অপটিমাইজ করতে হবে।

কোনো আর্টিকেলে ব্যবহার করা ইমেজ কে অপটিমাইজ করার বেশ কিছু টিপস রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য টিপস হলো, আর্টিকেলে ব্যবহার করা ইমেজের Alt tag, Caption যুক্ত করতে হবে। আর্টিকেলে ব্যবহার করা ইমেজের সাইজ 50-100 kb এর মধ্যে থাকা ভালো। ইমেজ গুলো যেন আর্টিকেলের রিলেটেড হয় সেই দিকে নজর দিতে হবে।ইমেজ কপি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে ৷ যেমন, অন্য কোনো ওয়েবসাইট থেকে ইমেজ ডাউনলোড করে তা আপনার আর্টিকেলে সরাসরি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকবেন। চাইলে সেই ইমেজ গুলোকে কম্পিউটার থেকে ভালোভাবে Edit করে নিতে হবে।
 
Eye Catching Title তৈরি করতে কবে। টাইটেল কোনো একটি কন্টেন্টের খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। 

Title আর্টিকেলের মূল সারসংক্ষেপ কে এক লাইনের মাধ্যমে প্রকাশ করে থাকে। তাই আর্টিকেল এর টাইটেলকে Eye Catching করার চেস্টা করবেন। Title এ সর্বোচ্চ ৫০-৬০ শব্দ ব্যবহার করার চেস্টা করতে হবে। অবশ্যই মূল কিওয়ার্ড টাইটেলে থাকতে হবে। Main Keyword এর সাথে সামন্জস্যতা রেখে আরও কিছু আকর্ষণী শব্দ যুক্ত করতে হবে। টাইটেলে (|),(-) এই চিহ্ন গুলো ব্যবহার করা হাবে।
 
আপনার টাইটেলে শব্দ চয়ন এমন হতে হবে। যেন আপনার মূল কিওয়ার্ডকে টার্গেট করে যেন কোনো প্রশ্ন করা বুঝায়। যেমন আপনার মূল কিওয়ার্ড যদি “Make Money Online”- হয়।তাহলে আপনার টাইটেল ” How to make money online” এমন হওয়া উওম। 


আর্টিকেলের Parmalink খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর্টিকেলের Parmalink কে গুরুত্বের সাথে অপটিমাইজ করতে হবে। Parmalink কে যথাসম্ভব শর্ট করার চেস্টা করতে হবে। 

URL এ অবশ্যই  Focus Keyword থাকতে হবে।  এর প্রতিটা শব্দের মধ্যে (-) চিহ্নটি ব্যবহার করতে হবে। ইউআরএল এ Ending জাতীয় শব্দ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকবেন। 
(How/To/Of) এই জাতীয় শব্দ গুলোকে Parmalink এর Ending word বলা হয়ে থাকে। 


 আর্টিকেল ডেসক্রিপশন (Article Description) অপটিমাইজ করতে হবে। কিছু কৌশল আছে, যেগুলো অনুসরন করলে খুব সহজেই একটি কন্টেন্ট এর ডেসস্ক্রিপশনকে অপটিমাইজ করা সম্ভব। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু কৌশল হলো, ডেসস্ক্রিপশনে অবশ্যই আপনার Main Keyword থাকতে হবে। এছাড়াও আর্টিকেলের Description এ সেইসব শব্দ গুলোকে ব্যবহার করবেন। যে শব্দ গুলো  LSI Keyword এর আওতায় পড়ে। ডেসস্ক্রিপশন ১৫০-২০০ শব্দের মধ্যে হওয়া ভালো । ডেসস্ক্রিপশন লেখার সময় ট্রান্সিশন ওয়ার্ড (যেমন, এবং,বা) ব্যাবহার  করতে হবে। 




 এভোইড কীওয়ার্ড ডেন্সিটি (Avoid Keyword Density ), যখন কোন আর্টিকেলে অধিক মাএায় Focus Keyword কে ব্যবহার করবেন। তখন তাকে বলা হয়,  Keyword Density. কোনো একটি আর্টিকেলকে এসইও ফ্রেন্ডলি করার জন্য অবশ্যই আপনাকে মেইন কিওযার্ডকে ব্যবহার করতে হবে। মেইন কিওয়ার্ডকে আবার এতোবেশি ব্যবহার করা যাবে না। যাতে আর্টিকেল Ranking Up হওয়ার পরিবর্তে Ranking Down হয়ে যায়। সাধারণত ১০০ ওয়ার্ড এর মধ্যে ১ বা ২ বার টার্গেট কিওয়ার্ডকে আনা যাবে।


ধন্যবাদ সবাইকে। ভালো থাকুন

মুহাম্মাদ সহিদুল ইসলাম
ইনস্ট্রাক্টর(কম্পিউটার)

No comments

Hi Thanks for Your Valuable Comments

Powered by Blogger.